মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪
ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
The Daily Post

নাটোরে ৫ বছরেও হয়নি প্রধান সড়কের ড্রেন পরিষ্কার 

নাটোর প্রতিনিধি 

নাটোরে ৫ বছরেও হয়নি প্রধান সড়কের ড্রেন পরিষ্কার 

নাটোরের প্রধান সড়কের ২ পাশের ড্রেন তৈরির ৫ বছর পেরিয়ে গেছে। তবুও আজও পরিষ্কার করা হয়নি এই দুই ড্রেন। পরিষ্কার না করার কারণে ড্রেনের ভিতরে ময়লা জমেছে প্রচুর পরিমাণে। উৎপাদন হচ্ছে মশা মাছি। ছড়াচ্ছে রোগ জীবানু। সন্ধ্যা লাগলেই ড্রেনের উপরের স্ল্যাবের ফাঁকা জায়গা দিয়ে ঝাঁক ধরে বেরিয়ে আসে মশা। মশার কামড়ে বাড়ছে মশাবাহিত রোগ। 

নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নাটোর কার্যালয় সূত্রে জানা যায় ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে নাটোর শহরের বড়হরিশপুর বাইপাস মোড় থেকে শহর হয়ে বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড় পর্যন্ত ৬ কি.মি. দীর্ঘ প্রধান সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়। 

সেই প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী ৪৮ ফুটের মধ্যে উভয় পাশে চার ফুট প্রশস্ত করে ড্রেন কাম ফুটপাত ও সড়কের মাঝে চার ফুট প্রশস্ত ডিভাইডার করা হয়েছে। ডিভাইডারের উভয় পাশে যান চলাচলের জন্য করা হয়েছে ১৮ ফুট করে পিচের রাস্তা। ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে সড়কটি প্রশস্তকরণের কাজ শেষ হয়।

কিন্তু সড়কের দুই পাশের ড্রেনের ভিতরের ময়লা পরিষ্কার না করায় নাটোর পৌরসভার বাসিন্দাদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে বড় হরিশপুর বাইপাসের বাসিন্দা মো. রিয়াজ হোসেন জানান, নাটোর শহরকে আধুনিকায়নের জন্য প্রধান সড়কের পাশে ড্রেন করা হয়েছে। কিন্তু তা এই ৫ বছরেও পরিষ্কার করা হয়নি। 

হাফরাস্তা উত্তর বড়গাছা এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন আহমেদ জানান ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার না করায় বোঁটকা গন্ধ লাগে। মশার উপদ্রব সবচেয়ে বেশি। 

তবে স্টেশন বাজারে ড্রেনের পাশে মাটি উঠানো পেয়ে দোকান মালিকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, বুধবার থেকে ড্রেনের ভিতরের ময়লা পরিষ্কার করে স্তুপ করে রাস্তার পাশে রাখা হচ্ছে। তবে সওজ না পৌরসভা এই কাজ করছে তা তারা জানেন না। 

এ ব্যাপারে পৌরমেয়র উমা চৌধুরী জলি জানান, সড়ক ও জনপথ পৌরসভাকে প্রধান সড়কের উভয় পাশের ড্রেন পরিষ্কার করার কোন দায়িত্ব হস্তান্তর করে নাই। তারা পৌরসভার সঙ্গে কোন সমন্বয় করে নাই।

তবে নাটোর সওজ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান সরকার জানান, কয়েকদিন আগে থেকেই শহরের স্টেশন বাজার এলাকায় প্রধান সড়কের উভয় পাশের ড্রেন পরিষ্কার করার কাজে হাত দিয়েছে সড়ক ও জনপথ। খুব শিগগিরই জনগণের মনে স্বস্তি ফিরে আসবে বলে তিনি মনে করেন। 

টিএইচ